
মাইন্ড দ্য গ্যাপ: শিক্ষায় ডিজিটাল বিভাজন দূর করতে হবে
কোভিড অতিমারি পরবর্তী পৃথিবীতে গোট দেশে অতি পরিচিত একটি শব্দ৷ আমুল পরিবর্তন দেশের শিক্ষাব্যবস্থায়। অনলাইন শিক্ষার পরিসর ক্রমেই ব্যপ্ত হয়েছে গোটা দেশে। অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন স্মার্টফোনের, যথোপযুক্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থার৷ কিন্তু দেশের এক বৃহৎ অংশের মানুষের কাছে এই পরিষেবা নেই। তাই আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে গোটা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। এই বৈষম্যই ডিজিটাল ডিভাইড নামে পরিচিত।
কোভিড অতিমারি পরবর্তী পৃথিবীতে গোট দেশে অতি পরিচিত একটি শব্দ৷ আমুল পরিবর্তন দেশের শিক্ষাব্যবস্থায়। অনলাইন শিক্ষার পরিসর ক্রমেই ব্যপ্ত হয়েছে গোটা দেশে। অনলাইন শিক্ষাব্যবস্থার জন্য প্রয়োজন স্মার্টফোনের, যথোপযুক্ত ইন্টারনেট ব্যবস্থার৷ কিন্তু দেশের এক বৃহৎ অংশের মানুষের কাছে এই পরিষেবা নেই। তাই আড়াআড়ি ভাগ হয়ে গিয়েছে গোটা দেশের শিক্ষাব্যবস্থা। এই বৈষম্যই ডিজিটাল ডিভাইড নামে পরিচিত।
লেখক : শ্রী অরিন্দম ঘোষ, ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং হেড অফ স্ট্র্যাটেজি, স্কুলনেট
এই সময় ডিজিটাল ডেস্ক : মহামারী-পরবর্তী পৃথিবী একেবারে বদলে গিয়েছে। করোনা মহামারীর প্রভাব সব কিছুর মতো শিক্ষা ব্যবস্থাকেও প্রভাবিত করেছে। তবে পাশাপাশি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। ভারতের বিশাল স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থায় মহামারীজনিত একাধিক সমস্যা আদতে কিছু ক্ষেত্রে শাপে বর হয়েছিল। বিশাল স্কুল শিক্ষা ব্যবস্থার ডিজিটালাইজেশনকে ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করেছে মহামারীকালীন এই দুর্যোগ। বিশ্বের বৃহত্তম এই শিক্ষা ব্যবস্থায় 250 মিলিয়নেরও (25 কোটি) বেশি শিশু রয়েছে। প্রায় দু বছর ধরে স্কুল ও শিক্ষা ব্যবস্থা ব্যাহত হওয়ার কারণে বাধ্য হয়েই ডিজিটাল শিক্ষা এবং দূর-শিক্ষা ব্যবস্থাকে বিকল্প হিসেবে মেনে নিতে হয়েছিল স্কুলগুলিকে।
যদিও এই নতুন ডিজিটাল শিক্ষা প্রদানের কিছু ভাল দিকও ছিল। সমাজের ও শিক্ষা ব্যবস্থার বিশেষ কিছু জায়গার ক্ষত সারিয়ে দিয়েছে এই পদ্ধতি। হাজার প্রতিবন্ধকতার মাঝেও ইতিবাচকতা খুঁজে বের করার মধ্যে একটা ভাল দিক রয়েছে। না হলে করোনা মহামারীর জন্য তো অনেকটা সময় দেশজুড়ে পড়াশোনা শিকেয় উঠেছিল। অনলাইনে পড়াশোনার জন্য তবু সেই চাকা গড়িয়েছে। তা সত্ত্বেও ডিজিটাল শিক্ষার ক্ষেত্রে শহুরে এবং গ্রামীণ ভারতের মধ্যে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে পরিচালিত বেসরকারি বিদ্যালয়ের সঙ্গে সরকারি স্কুলের মধ্যে একটা বিভাজন কিন্তু রয়েই গিয়েছে। শহরের বিত্তশালী মানুষের সন্তানের জন্য বেসরকারি স্কুলের সুবন্দোবস্ত ছিল মহামারীর সময়। কিন্তু এটা ভুলে চলবে না, এদেশে বেশিরভাগ শিক্ষার্থী সরকারি স্কুলের ওপরই নির্ভরশীল।
এখন ভারতকে আরও একটি চ্যালেঞ্জ সামলাতে হবে। সেটা হল, বিভাজন দূর করে কীভাবে ডিজিটাল শিক্ষাকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়! ‘ডিজিটাল ডিভাইড’। এমন শব্দের সঙ্গে অনেকেই হয়তো অপরিচিত। শব্দটি ইন্টারনেট এবং অনলাইন পরিকাঠামোর অসম বন্টনকে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। সমাজের সবরকম সুবিধা অনেকেই পায় না। তাই মহামারীর কঠিন সময়ে দরিদ্র বাড়ির পড়ুয়াদের ‘ডিজিটাল-ফার্স্ট’ হওয়ার ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা ছিল। ডিজিটাল উপায়ে পড়াশোনা চালানো তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।